হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৃক্ষ বিষয়ক কবিতা


গাছের সকালে


গাছের সকালে পাতার ভাত ভাগ হয়ে যেত জনে জনে
আয়নায় ফুটে উঠতো কে রেখেছে আড়ালে মুখ
কার দিন শুরুতেই মেঘ বর্ষায় হয়ে গেছে আবছা
শীত রোদের কোমল উষ্ণতার মতো কে যেন
উঠোনে উঠোনে ছড়িয়ে দিয়েছে চাল
এভাবেই তো মুখ না দেখে ঘরে ঘরে হয়ে যেতো কথা
কথাশিল্প নয়, কথার উদার স্রোতে ভেসে যেত
শুকনো থালা, ফুটো হয়ে যাওয়া বাটি,
আলো বুকে শুকিয়ে যাওয়া পেট

একদিন অন্ধকার ঘরে আগুন জ্বলল 
আগুনের পথ ধরে খুলে গেল কত কত গিঁট
যে আলোর জন্যে উড়ে গেছে কত প্রাণ
সেই আলোই এসে পড়ল সিংহাসনের ওপর
সমুদ্রের একচেটিয়া গর্জনের মতো
সিংহাসনের বেড়ে বেড়ে গেল হাত
আগামীর যে থালা ভরে যেত সাদা ভাতে
সিংহাসনের পায়ার খোঁচায় ফুটো হয়ে যাওয়া পেটে
একটুও তলাতে পারল না কথা দেওয়া জল
আজ তাই সব ঘর কানা
আলো নেই দেশে জড়ো হয় যতো কাক -------
ভোরের সরু সরু গলিপথে বেজে যায় একটানা কান্না।

No comments:

Post a Comment