নিমাই জানা বৃক্ষ বিষয়ক কবিতা


শুক্রাচার্য অথবা হিউমাস রোদ


অনন্ত অক্ষর নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন মহাপুরুষ

পাতার বিসর্গ অক্ষরেরা কেবল ভিজে আভ্যন্তরীণ রোদে পোশাকের মতো এই অদ্ভুত মায়াময় জগতে স্থির অথচ শেকড় থেকে ছড়িয়ে পড়া আমাদের চিরায়ত গমন
জাহ্নবি দ্বীপের শুক্রাচার্য অথবা শুকদেব এমন অলৌকিক ঈশ্বর তৈরি করেছেন

আমরা কেবল পাতার নিচে আমাদের ছেঁড়া পোশাক বদলে ফেলার রীতি অনুযায়ী দশমিক বিন্দুর চলন পড়েছি
স্থির অক্ষরেরা অদ্ভুত হিউমাস মাটির উপর আমাদের অযৌন ঘর নির্মাণ করেছেন প্রাচীন মহাপুরুষের পাদদেশে

ছুঁয়ে দেখছি কেবল তার বর্ণময় সিলেন্টেরন লোমশ শেকড়


মানিপ্লান্ট অথবা ব্যবচ্ছেদ পোশাক



চাঁদ ছুয়ে যাওয়ার আগে পাতা থেকে ছড়িয়ে পড়ে এমন সুপুরুষের পা ধোয়া জল

আমি কিছু সনাতন জাইলেম তাদের তলপেটে ভরে রাখি অসংলগ্ন ডিএনএ রাশিচক্র ভেবে
নির্বিকার দানা থেকে আমাদের অবৈধ বেঁচে থাকা প্রসারিত হাতে নাভি ছেদন জল ও মাটি , অন্ত্রের আরো গভীরে থেকে নিয়ে আসি ল্যাটেরাইট ভৌম জল

বৃক্ষ কখনো নারী হয়ে যায় মধ্য প্রহরের পর উন্মুক্ত স্তনে
আমি কেবল মৌলিক ব্রততী নারীদের কথা ভাবি যারা আমার লেখার কাগজের ওপর মানিপ্ল্যান্টের পাতা রাখে
আমি শুধু সাজ গ্রহণের সময় শৌচ, বিলীয়মান স্পার্মের গন্ধ শুঁকে বেড়াই ব্যবচ্ছেদ দুষ্ট পোশাকে

ঈশ্বর ক্রমশ পর্ণমোচী হয়ে ওঠেন


সরলবর্গীয় ঈশ্বর অথবা উর্ধ্বপাতন



সরলবর্গের মতো ছেড়ে যায় এই নিরক্ষীয় সাদা আয়ুঘর

পোশাকের মতো খুলে রাখি সব অন্ধ পুরুষ মানুষদের হাত অজস্র তৃতীয় লিঙ্গের ঈশ্বরেরা আসেন অন্তিম প্রহরে
তাদের হাতে ঘণ্টাধ্বনি থাকে , তাদের নদীর তৃষ্ণার কাছে নিয়ে যাই , উপুড় করে রাখি সাগরের কিনারায়
অজস্র মরুক্ষীর দিকে দিকে দীর্ঘ হয় গাণিতিক চিহ্নের মতো আমি এখন সৌর নিবাসী সব ভেঙে নিজের শরীরে খাদ্য তৈরি করি ছিদ্রময় লোমকূপ দিয়ে

গভীর প্রহরের পর সুপুরুষেরা উর্ধ্বপাতনের ন্যাপথলিন জিভে রেখে সোনা পরিয়ে দিচ্ছে অদ্ভুত নারীর হাতে ,তারপর ঈশ্বর কখনো অভিমান করেননি
আমরা কেবল ঈশ্বরের ধ্বংসলীলা দেখেছি সংহার ত্রিশূলে

সৃষ্টির ব্রহ্মার জানু থেকে বেরিয়ে আসছেন প্রজাপতি অথবা মনু জগৎ , সুমন 

No comments:

Post a Comment