রিয়েলিটি
ভিজে আছে সব, ভেজা পা
কাঠের চেয়ার
রাস্তার পাশে কোন রকমের একখান ঘর
খসে পড়া যাবজ্জীবন!
রাস্তার পাশে ছিটানো আছে ভাত
সঙ্গ হাওয়ায় শালিকেরা আসে-যায়
তুমি কোথায়? যোগাযোগ নাই
কোথাও কী যাচ্ছ চলে
নাচাইতে নাচাইতে দুইখান হাত
অথবা তাকাইয়া আছো
নিয়া নিঃসঙ্গকালের মন খারাপ
ইশ্, এখন যদি আমার লগে থাকতা
তবে দেখতে পাইতা
টোকাইটা আনন্দ পাইতেছে কেমন
কেমনে এক গরস খায় আরেক গরস ছিটায়
পেটে ক্ষুধা, মাগা ভাত
অথচ ভাতের গরম লাগতাছে আমার
কোনদিন রাস্তার ধারে বইসা এই মজা নিয়া
তুমি-আমি এইভাবে ভাত
খাইতে পারবো, পারবো না…
অবান্তর
একটা দূরের সংসার ঢুকে পড়ছে
ভাবনায়-
ছোট ছোট গাছে পাতারা বেদেনী
দুলছে মাঝে মাঝেই
জর্দ্দা দিয়ে পান খাওয়া এক কিশোরী
উঠোনে পড়ে থাকা ধানে
পা নাচাচ্ছে
বৃষ্টি ভাবের একটু আগে
ছায়ার দুয়ারে ঝিম মেরে
ছাগলটা বসে আছে
হাওয়া বইছে পিতলের আকাশে
ঘুঘু ডাকছে নিশ্চয়ই
No comments:
Post a Comment