কবিতা বুলেটিন : ১৫ আশ্বিন ১৪২৬ বঙ্গাব্দ


বর্ষ  ১ : সংখ্যা ১
১৫ আশ্বিন ১৪২৬ বঙ্গাব্দ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ

সম্পাদকীয়
‘কবিতা বুলেটিন’ এর পক্ষ থেকে স্বাগতম। প্রতি মাসে দুইবার আমরা কবিতা ও এ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে হাজির হবো। চেষ্টা থাকবে প্রতি মাসের প্রথম এবং মধ্যবর্তী সময়ে হাজির হবার।
আপনাদের পাশে চাই। আপনারা লেখা দেবেন, মতামত জানাবেন। কোনোরূপ দ্বিধা করবেন না লেখা কিংবা মতামত পাঠাতে।

ধন্যবাদান্তে
সম্পাদক
ইমেল: saniasumat@gmail.com


পুনঃপ্রকাশ

আমার আশ্চর্য ফুল
বিনয় মজুমদার

আমার আশ্চর্য ফুল, যেন চকোলেট, নিমিষেই
গলাধঃকরণ তাকে না ক’রে ক্রমশ রস নিয়ে
তৃপ্ত হই, দীর্ঘ তৃষ্ণা ভুলে থাকি আবিষ্কারে, প্রেমে।
অনেক ভেবেছি আমি, অনেক ছোবল নিয়ে প্রাণে
জেনেছি বিদীর্ণ হওয়া কাকে বলে, কাকে বলে নীল-
আকাশের হৃদয়ের; কাকে বলে নির্বিকার পাখি।
অথবা ফড়িঙ তার স্বচ্ছ ডানা মেলে উড়ে যায়।
উড়ে যায় শ্বাস ফেলে যুবকের প্রাণের উপরে।
আমি রোগে মুগ্ধ হয়ে দৃশ্য দেখি, দেখি জানালায়
আকাশের লালা ঝরে বাতাসের আশ্রয়ে আশ্রয়ে।
আমি মুগ্ধ; উড়ে গেছ; ফিরে এসো, ফিরে এসো, চাকা,
রথ হয়ে, জয় হয়ে, চিরন্তন কাব্য হয়ে এসো।
আমরা বিশুদ্ধ দেশে গান হবো, প্রেম হবো, অবয়বহীন
সুর হয়ে লিপ্ত হবো পৃথিবীর সব আকাশে।


বুলেটিনের কবিতা

শরীর শরীফ
আরণ্যক টিটো

শরীর
কেবল শরীর না, ইহা শরীর শরীফ!...
শরীর শরীফবিহীন হয় না প্রেম,
মজে না মজমা!
মন হলো
শারীরিক রসায়নের নূর-এ-কেবলা, আশেকান!
অতএব
নত হও ইবাদতে,
আচমন করো শরীরসমগ্র/জলজপ্রপাত!
মুর্শিদ,
বাহো ত্বরী, বাহো গো ত্বরি-কা,
লবণের অপার রহস্য খুঁজে পাবে শরীরসমুদ্রে!...


পেছনে রত্নগর্ভা পুঁথিমাঠ
রবিন পারভেজ

ফিরে যাচ্ছো। তোমার গতির ছন্দ চলার শিল্পঢঙ চোখ ভরে দেয়। নিঃসঙ্গতা ভুলে চলমান নিসর্গ নিয়ে ভাবি। যদি পিছু নেই তো পেছনে উৎপ্রোর টান, যদি সম্মুখে যাই তো পেছনে চিত্রকল্প মাঠ। আমরা ছিলাম নদী তীর ধরে বৈকালিক ভ্রমণে, ও-বড় নদী শাসিত; জলকান্নাচ্ছন্ন।

ছড়ানো সবুজে ছড়িয়ে যেতে যেতে পাখি-বোধে উড়ি। ভেজা মাটি খুলে দেয় আন্তর ভাঁজ। পরশে ছিঁড়ে যাচ্ছে জাল, কাদা জলের মাখামাখি ভুলে তুমি ফিরে যাচ্ছ… আর বাতাসের সিঁড়ি ভেঙ্গে নেমে আসছে অচেনা পাখির পালক। এবার ফলন হবে ভাল। কাঁচা ধানের ছড়া শেকড়ে ফেরাচ্ছে চোখ-ওখানে ইতিহাস আছে-খুঁজে দেখবার।

ফিরে যাচ্ছো। পেছনে রত্নগর্ভা পুঁথিমাঠ।


জোকার
সাম্য রাইয়ান

এক ধরনের বোকা বোকা দীর্ঘশ্বাস শুনতে পাচ্ছি। তীব্র শব্দে দীর্ঘ বিরতি নিয়ে আওয়াজ আসছে।

আমার বুক কেঁপে ওঠে। শরীরে নাড়া দেয়।

গতজন্মে কারা যেন আতঙ্কবীজ পুঁতে দিলো; আমার কিচ্ছু মনে নাই। সেই থেকে বেড়ে উঠলো, তার লকলকে ডগা গজালো। আমার কোনও স্মৃতি জাগলো না; না প্রেমের, না কামের।

আমি সেই জন্মবধির, পুরোনো ভঙ্গিতে পোষা দুঃখগুলো খাঁচা থেকে বের করে ময়দানে খেলা দেখাই।


No comments:

Post a Comment