সুমন সাহা'র কবিতাগুচ্ছ

রিলেশনশিপ


মনের টান দূরত্বকে দুপুরবেলার স্টেশনে বসিয়ে― কাউকে কিছু না জানিয়েই পালালো! চিহ্ন মুছে ফেলার কথা যে জানালো শনিবারে―সেও রওনা দিচ্ছে লোকাল ট্রেনে। অপরিনামদর্শী অপেক্ষার চোখ দেখে আতকে উঠলো শ্রাবণধারা! নক্ষত্রের ভীড়ে কিছু স্মৃতি চেনা যাচ্ছে না―এদিক-সেদিক ঘুরেফিরেও; সোজাসুজি বসে আছে―


অতিরিক্ততার ডানপাশে মেঘ


লোভে হেঁটে
চলে যাবার পর―
মাছ আটকা পড়লো বড়শিতে!
আটকিয়ে রইলো―
অনেক চেষ্টায় ছাড়াতে পারলোনা রূপ!

অনেক কথা―কথাগুলোকে
বাচ্চামির পর্যায়ে দেখা―শোনাও গেলো।
অন্ধকারের মায়ের কোন দোষ
ছিলো না এখানে―

রূপের গাড়ি আটকে গিয়েছে কাদায়।
মেঘের কাছাকাছি


কাগজের নৌকা


১টা শালিখ জয় করে নিয়েছো মন― আর তুমি ডুব-সাঁতার খেলছো! অনুরোধ তোমার কাছ থেকে ফিরে এসে― ভেবেছে অনেক। সাদা কাগজ অবজ্ঞার গল্প শুনতে-শুনতে বানিয়েছে কাগজের নৌকা― আর ভাসিয়ে দিয়েছে জলে। আমার মন কাগজের নৌকা হয়ে ভেসে চলছে শুধুই ― অজানায়। আমি জানি― পারবোনা কাগজের নৌকায় পাড়ি দিতে তেরো নদী―সাত সমুদ্দুর!


গোপন ঢেউ


আধোঘুমে বিশ্রামে তুমি উদাসীন হবার পরেত্তে― বা'পকেটে কৌতূহল নিয়া তোমাদের বাসার বাউন্ডারি দেয়াল পেরিয়ে―অনেক ভাবনার খসড়া করা গ্যাছে।...

গ্রাম্য সোঁদা মাটির গন্ধ কিছু শব্দ ভাবে। লিখে না। সেই শব্দগুলা তোমার অনুমতি চোখ ডাকলেই যায়। গিয়ে― থরোথরো প্রেমে আর জ্বরে ভুগে কিছুদিন বিছানা লয়ে―তোমারেই ভাবে!


নীল চোখ―শরৎকাল


অনুরোধের আহ্লাদ দেখতে বের হই নাই;
দেখা হয়েই গেলো!
পুরাতন সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে
কোনদিকে গেলো―

শামুক চাইলে নিজেই আসে;
খোলস আলগা করে দেয়।
কিছুই লাগে না―
কোন লজিক প্রস্তুত না এখানে!

দুপুরগুলো অন্যকোথাও যাবার প্রস্তুতি
নিচ্ছে। যাবেই―
ঘরে আটকে রাখতে পারেনি
শরৎকাল।


পরিচিতি
সুমন সাহা
জন্মঃ ১ মার্চ ১৯৮৪ সালে, শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায়। পেশাঃ শিক্ষকতা। প্রকাশিত ১ম কবিতা পুস্তকঃ প্রযত্নে― হাই স্কুল রোড (২০১৯)

No comments:

Post a Comment