আগেও দেখতাম ওদের, এখন একটু বেশিই দেখি। লকডাউন বলেই হয়ত! সাইকেলে করে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় খাবার পৌঁছে দিচ্ছে ওরা। সাশ্রয়ী নিশ্চয়ই, নইলে এতটা জনপ্রিয় কী করে হয়। যেসব জায়গায় নিয়মিত ও মাঝে-মধ্যে চা খাই, সেসব জায়গায়ও দেখা পাই ওদের ভাঙাচোরা সাইকেলের। পার্কিং নিয়ে সিকিউরিটি গার্ডদের সঙ্গে কখনোসখনো বচসাও করে এই উদ্যমীরা।
আমিও একদিন এই খাবার অর্ডার করব, কিন্তু কীভাবে সেটা করতে হয় শিখে নেব আজিম বসের কাছ থেকে। প্রাত্যহিক নানা ব্যস্ততায় শেষপর্যন্ত শেখার সময় করে উঠতে পারি না। সংশ্লিষ্ট খাদ্য কোম্পানির নাম ফুডপান্ডা।
এবার কবিতাটি পড়ুন—
ক্ষুধার ফেরিওয়ালা
সাইকেলে টুংটাং বেল বাজিয়ে হাজির হল যে কিশোরসে তো আমারই দূরসম্পর্কের আত্মীয়, দেশতুতো ভাইসেও পায় লাল-সবুজ পতাকার ছায়া কিংবা প্রচ্ছায়াখাবারের সুদৃশ্য প্যাকেটটা হাতে দিয়ে বিদায় নিল সে।সে! না, তাঁর একটা নাম দিই—ক্ষুধার ফেরিওয়ালানিজের ক্ষুণ্নিবৃত্তির জন্য অন্যদের পাশে সে ত্রাতা-ভ্রাতাপৃথিবীতে ক্ষুধাই একমাত্র ভাষা, যার অনুবাদ হয় নাক্ষুধার্ত পেটে আমরা প্রায়শই ওকে-একে গাল পাড়ি।খাবারের প্যাকেট হাতে দাঁড়িয়ে ছিলাম তাকিয়ে ছিলামবিহ্বল আমি ক্ষুধার কথা ভুলে সাইকেল বালকেরধ্বজভঙ্গ বাহন দেখি; পেছনে ধূলি-ঘূর্ণি নেই মোটেওমধ্যদুপুরে গোটা বিশেক ধূলি তো উড়তেই পারে!তাকিয়ে থাকতে থাকতে বুঝে যাই—উড়বে না কিছুইওই হতভাগার মতো দ্বিচক্রযানটিও ক্ষমতাহীন বালিহারাতবু্ও স্বপ্ন দেখি এই ফেরিওয়ালাও একদিন বড় হবেহয়ে উঠবে পাণ্ডা, সময়ের কাছ থেকে বুঝে নেবে হিস্যা।
দুর্বোধ্য কবিতায় বিশ্বাসী ও সহজবোধ্য কবিতাপ্রেমী কবি—উভয় পক্ষ এটাকে কবিতা হিসেবে মেনে নিলে খুশি হব।
No comments:
Post a Comment