চঞ্চল নাঈম

কবিতার মধ্যে চাঁদের নিমগ্ন প্রেম থাকে


কবিতা লেখার মধ্যে প্রেম থাকে। ক্লান্তি না, নিমগ্ন ঘোর থাকে, আর শব্দের আড়ালে স্বপ্নদেশ থাকে। এমনকি দ্রোহের গোপনে সন্দেহের অনুরাগী চাঁদ থাকলেও যেন তার কিছু আলো হালকা বাতাস কাটে। চাঁদের শরীরী চোখধাঁধানো অভুক্ত সমকালে, সংশ্লিষ্ট বুকের নৈঃশব্দের অনুভূতি উপস্থিতি চারপাশে জড়ো। চাঁদের নিঃসৃত আলো-বাক আর বাক্য ঝরে বৃষ্টি-ইতিহাসে। আমার সরল কবিতার দুঃখ আর সংকট মুহূর্তের প্রেম নিরিবিলি দৃশ্যমান। কবিতার শব্দ-বাক্যে চাঁদ জ্বলে স্বাভাবিক ভাবে। চিন্তাচক্রে কবিতা-শরীর ক্রমাগত বাড়ে। কবিতা লেখার মধ্যে আমি থাকি চাঁদের নিমগ্ন ছদ্মবেশে।


চাঁদের শরীরী চারপাশে বিজ্ঞাপন পড়ি


কবিতার বিজ্ঞাপন পড়ি। রাত্রির হালকা কিছু স্মৃতি ঘাঁটি। স্মৃতির উদ্দেশ্যে স্তোস্ত্রগীত সুরে আর অনুক্ষণে চাঁদের সমস্ত স্তন থেকে মৌন প্রেমাস্পদ ঝরে। ভাষা বিষণ্নতা ব্যাকরণ। বাতাসের শোঁ শোঁ আওয়াজ, ব্যাবহারিক নিশ্বাসের অনুভবে মহত্ত্বের আচরণ জ্ঞান-ইতিহাস। চুপচাপ আবেগের স্মতিময় ব্যাকরণ খুঁজি। প্রসঙ্গত, চাঁদ কোন ব্যাকরণ শেখেনি, শুধুই রাতের নির্জন জঠরে ধাক্কা খেয়ে ধু ধু ভাসে। আর শহরের ল্যাম্পপোস্ট আলোয় নিজেকে অদৃশ্য করে বহুবার। শৈশবের বেভুল সংকেতে কত-শত স্মৃতির অস্তিত্বে জাগে বর্ষা চাঁদের সার্কাস। নাগরিক বক্তব্যের মতামতে হতাশায় শুনি কু-ঝিকঝিক শব্দ আর প্রেমের অভুক্ত জাগরণ। যেন চাঁদের শরীরী চারপাশে তাঁরাদের চিত্র প্রচলিত বিজ্ঞাপন পড়ি।

No comments:

Post a Comment