শবদেহ নিয়ে যাচ্ছে গোটা দশেক লোক, সবাই চুপচাপ
শবদেহ কালো প্লাস্টিকে আগাপাশতলা মোড়া
করোনা বেচারাকে হরিধ্বনি কিংবা রবীন্দ্রনাথের গান শুনতে দিচ্ছে না
কেই বা গাইবে, তরুণ-তরুণীরা নেই, আধবুড়োদের নাকে-ঠোঁটে মাস্ক
আমি নাক খুঁটতে-খুঁটতে দেখছিলুম আর ভাবছিলুম হিঁদুর মড়ার এই গতি
ব্রাহ্মও হতে পারে, মারা গেলে ওনারা এরকম মুখ বুজেই থাকেন
জীবনানন্দের শবযাত্রায় তেমন লোকজন ছিল না, ওনার শব ছিল বেচারামার্কা
রবীন্দ্রনাথের ছিল হইহই মার্কা সুনীল গাঙ্গুলির মতন
আমার শবও বেচারামার্কা হয়ে পুড়তে যাবে
কেউ এখনও কবিদের শবযাত্রা নিয়ে বই লিখলোনা কেন
জগুবাবুর বাজারে শবের জন্যে খাট আর ফুল পাওয়া যায়
দিনে কয়টা মড়ার খাটের চাহিদা তা জানে দোকানদার
তবুও অনেকে খাটগুলো নাড়িয়ে দ্যাখে
যেন ফুলশয্যার ধস্তাধস্তির জন্য কিনছে
পাশেই দশকর্মের দোকানে শ্রাদ্ধের মেডইজি প্যাক রেডি
অলোকরঞ্জন জার্মানিতে মারা গেলেন, কেউ রবীন্দ্রসঙ্গীত কি গেয়েছিল
নাক খুঁটতে-খুঁটতে এই সবই পাঁচসাত ভাবছি
No comments:
Post a Comment